কাঠালিয়া উপজেলার জনজীবন পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ‘রাখাল ছেলে’ কবিতায় মূর্ত হয়ে উঠা গ্রাম বাংলার কৃষক রাখালসহ সহজ-সরল মানুষের জীবনচিত্র - ‘রাখাল ছেলে! বাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও! বা৺কা গা৺য়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও’।
এ উপজেলার অর্থনীতি এখনও গ্রামীন অবস্থায় রয়েছে। প্রধানত: কৃষিজ উৎপাদিত পন্য ধান, সুপারি, নারিকেল এবং বিভিন্ন শাক সব্জী উৎপাদন এবং বিশখালী নদী ও বিভিন্ন খাল হতে প্রাপ্ত মাছ এখানকার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। মাঝারী বা ভারী শিল্প দূরের কথা এখানে কোন প্রকার কুটির শিল্পেরও অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।
অসংখ্য খাল ও জলাভূমি পরিবেস্টিত এ উপজেলার আবাদী জমি সীমিত। কাঠালিয়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ দিয়ে প্রবাহিত বিশখালী নদীর জোয়ারের পানি দিয়ে অনেক জমি প্লাবিত হওয়ায় অধিকাংশ জমিই দো বা এক ফসলা। কৃষিজ উৎপাদনও কাঙ্খিতমাত্রায় নয়। কারেন্ট, চরগড়া, নেট প্রভৃতি জাল দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত থাকায় মৎস্য সম্পদও কমে আসছে।
খুব বেশী পরিমানে উৎপাদিত না হলেও সুপারি মূলত এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল। সুপারি, বিশখালী নদীর ইলিশ ও চিংড়ী এ এলাকা হতে দেশের অন্যত্র প্রেরণ করা হয়। এখানকার চাহিদা পূরনের জনা শাক-সব্জী সহ অন্্যন্য খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজীয় দ্রব্যাদি বাহির হতে আনতে হয়।
ব্যাংকের শাখা পর্যাপ্ত না হওয়ায় এবং সচেতনতার অভাবে এলাকাবাসীর মাঝে অনানুষ্ঠানিক ও এনজিওর মাধ্যমে উচ্চহার সুদে অর্থ লেনদেন হয় যা গ্রামীন অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মূলত: হাট-বাজারগুলোই এ এলাকার অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র। প্রধান হাট-বাজারগুলো হলো আমুয়া হাট, আমুয়া মৎস্য আড়ত, কাঠালিয়া বাজার, আউরা গরুর হাট, চেঁচরীরামপুর কৈখালী হাট, আওরাবুনিয়া হাট, সেন্টারের হাট ইত্যাদি।
কৃষি কাজ, মৎস্য আহরন এ উপজেলাবাসীর প্রধান জীবিকা। শিক্ষার প্রসারের সাথে সাথে অনেকেই এখন শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন সরকারী –বেসরকারী চাকুরিতেরত আছেন।
সম্প্রতি বিশখালী নদীতে বেড়ীবাধ নির্মাণ শুরু হওয়ায় এবং সরকারীভাবে পাওয়ার টিলার, উন্নতজাতের বীজ, সার, কৃষি উপকরন সরবরাহ করাসহ পরামর্শ কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় কৃষিজ উৎপাদন নিত্যদিন বাড়ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS