হযরত মাওলানা মাকছুদউল্লা আশ্রাফী
হযরত মাওলানা মাকছুদউল্লা আশ্রাফী এ উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়ায় বাংলা ১২৯৫ ইংরেজী ১৮৮৫ সনে বৈশাখ মাসের ৭তারিখ শুক্রবার গাজী বংশে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম মরহুম হাজীছানা উল্লা। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা হতে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন।তিনি দীর্ঘ ২২ বছর কঠোর সাধনার পর আল্লামা আশ্রাফ আলী থানভী (রহঃ) এর খেলাফত প্রাপ্ত হন।তিনি একজন অসাধারণ শিক্ষাবিদ, গবেষক, দার্শনিক, সাধক, মুহাদ্দিসও সমাজসংস্কারক ছিলেন। মরহুম হযরত পীর ছাহেব বাংলা ১৩৬৮ ইংরেজী ১৯৫৮ সনে ২২শে শ্রাবন রোজ রবিবার ইন্তেকাল করেণ।আজোও তার হাজার হাজার ভক্ত সমর্থক রয়েছেন।
জনাব বযলুর রহমান (বিটি)
জনাব বযলুর রহামান হক্কোনূরী ১৮৯১ সালে এ উপজেলায় শৌলজালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৌঃ আলী শরীফ মিয়া। তিনি বরগুনার ছোট গৌরীচন্না হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পর বরিশাল জেলার এ, কে স্কুল ও হোগলা স্কুল, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর স্কুল এবং বেতাগী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পরেও তিনি বেতাগী হাইস্কুলের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে কবি, দার্শনিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী নিজ দরবারে ইন্তেকাল করেন।
গ্রন্থঃ জিঞ্জাসা, সাতসমুদ্র, অনন্ত জিজ্ঞাসা, তৌহিদ, শরিয়ত-মারফত, সুফি দর্শণ, নফিস চান্দের বাশি, সবদরিয়ার শেষ তরঙ্গ, বর্ধিষ্ঞু চিন্তার ভূবনে, ফতোয়ায়ে হক্কোননূর দরবার শরীফসহ প্রভৃতি গ্রন্থ লিখেন। এছাড়াও অনেক লেখনি পান্ডুলিপি আকারে অপ্রকাশিত আছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত হক্কোননূর দরবার শরীফে প্রতিবছর ০৩ (তিন) দিন ব্যাপি ওরস হয়। ওরসে হাজার হাজার ভক্তগণের সমাগম হয়।
জনাব নুরুল ইসলাম সিকদার এমএনএ
জনাব নুরুল ইসলাম সিকদার এ উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের অধিবাসী ছিলেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব আব্দুল জব্বার মিঞাজী
জনাব আব্দুল জব্বার মিঞাজী ১৭ই কার্ত্তিক ১২৮৩ রোজ শুক্রবার এ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিংড়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহন গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আঃ ছত্তার মিঞাজী । জনাব মিঞাজী একজন বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক ও সংস্কারক ছিলেন। ফুরফুরা শরীফের খলিফা হিসাবে তিনি কাঠালিয়া বামনা এবং মঠবাড়ীয়া কিছু অংশের ৫২টি মৌজার দায়িত্ব প্রাপ্ত খলিফা ছিলেন।১৯২৪ খ্রিঃ ফুরফুরা শরীফ থেকে খেতাব প্রাপ্ত হন মিঞাজী উপাধি প্রাপ্ত হন।সে থেকে তিনি মিঞাজী হিসাবেই পরিচিতি লাভকরেণ।তিনি চিংড়াখালী সিনিয়র মাদ্রাসাসহ অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, মকতব প্রতিষ্ঠা করেন।১৩৫৬ সনের ৯ই আশ্বিন রোজ সোমবার তিনি ইন্তেকাল করেণ।
জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির
জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৩৬ইং এ উপজেলার চেচরিরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিমচেঁচরীগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম তোফাজ্জেল হোসেন (তোঁতামিয়া)। জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির মহান জাতীয় সংসদে ১৯৮৬-১৯৮৮সময়কালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক, কর্মচারী ফেডারেশন এর সভাপতি, সার্ক সংবাদ পত্র শ্রমিক, কর্মচারী ফেডারেশন এর আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে তিনি জাতীয় দৈনিকইত্তেফাক দীর্ঘকাল জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাবেয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,বানাই, কাঠালিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রচেষ্ঠায় ভান্ডারিয়া-বানাই-ভগিরথপুর হয়ে মঠবাড়ীয়া রাস্তা নির্মিত হয়।
জনাব সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার
স্বর্গীয় গঙ্গা চরণ মজুমদার এর তৃতীয় সন্তান। জন্ম-১১ মার্চ ১৯১৮ তিনি এ অঞ্চলের তৎকালীন সময়ে শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪৫ সনে বি,এ ও ১৯৫৯ সনে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড পাশ করেন। তিনি আয়কর বিভাগের অফিসার পদে সরকারি চাকুরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও শিক্ষা বিস্তারের নিমিত্ত্বে তিনি এলাকাবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৯৫২ সন হতে ১৯৮৯ সন পর্যন্ত আওরাবুনিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৫ অক্টোবর ২০০০ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
ডঃ সেকান্দার হায়াত খান
ডঃ সেকান্দার হায়াত খান ২৪/০১/১৯৫১ইং তারিখে এ উপজেলার পাটিখালঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি ইস্ট –ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর হিসাবে কর্মরত আছেন। ডঃ খান মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মরিচবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবুনিয়া মাধ্যমিকবিদ্যালয়, প্রস্তাবিত ডঃ সেকান্দার হায়াত খান স্কুল ও কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
জনাব রসুল সিকদার
জনাব রসুল সিকদার ২৪/১০/১৮৯৮তারিখে কাঠালিয়া উপজেলার বিখ্যাত সিকদার বংশে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম মরহুম ফাজিল সিকদার।তিনি ১৯৩০ সন হইতে ১৯৮০ সন পর্যন্ত কাঠালিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পঞ্চায়েত ছিলেন বলে সকলে তাকে রসুল সিকদার না বলে রুসুল পঞ্চায়েত বলে ডাকতো। তার নেতৃত্বে ১৯৬৯সনে কাঠালিয়া থানা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয় এবং অসহযোগ আন্দোলন পরিচালিত হয়।তিনি দীর্ঘদিন কাঠালিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতির দয়িত্ব পালন করেন।তিনি ২৩/১১/১৯৮৩তারিখে মৃত্যুবরন করেন।
জনাব ইসহাক পঞ্চায়েত
তিনি ১৯১০ সালে কাঠালিয়া দক্ষিন আউরা এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম মরহুম আমির উদ্দিন পঞ্চায়েত। শিক্ষা জীবনে তিনি বরিশাল জেলা স্কুলওব্রজমোহন কলেজ হতে আই,এ পাশ করেন। অতঃপর কোন চাকুরী না নিয়ে সমাজ সেবা মূলক কাজে অংশগ্রহন করেন।পরবর্তী পর্যায়ে তিনি পঞ্চায়েত, প্রেসিডেন্ট ও ১৯৭৩ সালের গণভোটে ১ম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । তিনি বিগত ১৯৯৭সালে মৃত্যু বরণ করেণ।
অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
ড. মোঃ ওয়াহিদ্দুজামান (চাঁন), ভিসি, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
চলমান...............................
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস