মুক্তিযুদ্ধে কাঠালিয়া ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কাঠালিয়ার স্বাধীনতাকামী মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন সাংসদ মোঃ এনায়েত হোসেন খান ও মোঃ নুরুল ইসলাম ভান্ডারী কাঠালিয়ার বীরজনতাকে সুসংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে কাঠালিয়ার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ ভারত ও সুন্দরবনে চলে যান এবং সেখান থেকে গ্রুপ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর বেশ কিছু যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালে ০২ নভেম্বর বীরমুক্তিযোদ্ধারা কাঠালিয়া থানা আক্রমন করে থানার সকল অস্ত্র নিয়ে যান। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী এ উপজেলায় ব্যপক গণহত্যব চালায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মে আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া এলাকায় ব্যপক গণহত্যায় ৪০ জন লোক শহীদ হন বলে জানা যায়। ১৯৭১ সালের ২৩ জুন কাঠালিয়ার আওরাবুনিয়া এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডে শহীদ হন ২৯ জন। এছাড়াও কাঠালিয়ার চাদের হাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী হামলা আরো ৫ জন শহীদ হন। তথ্য সংগ্রহঃ আঃ জলিল আকন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার, ভান্ডারিয়া ও কাঠালিয়া উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা-এখানে ক্লিক করুণ।
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস